মালখানগর হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী নদী বিধৌত উর্বর ভূমি বিক্রমপুর যার প্রাচীন নাম ছিল শ্রীবিক্রমপুর। অতীতকালে বিভিন্ন সময়ে বিক্রমপুর ছিল বঙ্গশাসকদের রাজধানী। বিক্রমপুর বঙ্গদেশের একটি পরগনা হলেও শিক্ষা দীক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞানে এর সুখ্যাতী ছিল সারা বিশ্বে। এর কারণ যখন থেকে অবিভক্ত বাংলায় আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয় তখন শুধু বিক্রমপুরে যতগুলো হাই স্কুল ছিল অন্য কোন অঞ্জলে তার অর্ধেকও ছিল না। এই বিখ্যাত বিক্রমপুরের কেন্দ্রস্থলে বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলাধীন মালখানগর ইউনিয়নে অবস্থিত এ এলাকার অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মালখানগর হাই স্কুল। আজ থেকে ১৩৫ বছর পূর্বে বিক্রমপুরে ৫টি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় তার একটি হলো মালখানগর হাই স্কুল। মালখানগর গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা বসূ পরিবারই মালখানগর হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। তাই এ স্কুলের ইতিহাস জানতে হলে মালখানগরের বসু পরিবারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানতে হয়।মালখানগরের বসূ পরিবার তদানিন্তন (১৬ শতক-২০ শতক) বঙ্গদেশের এক বিখ্যাত পরিবার ছিল। তাদের আদিপুরুষ দশরথ বসূর অধাস্তন সপ্তদশ পুরুষ দেবীদাস বসূ ঠাকুর মালখানগরের গোড়াপত্তন করেন। দেবীদাস বসূর পিতামহ গোপাল বসূ বর্তমান ভারতের পশিচম বঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের বাসিন্দা ছিলেন। গোপাল বসূর চার পুত্রের মধ্যে তৃতীয় পুত্র গোবিন্দ বসূর সন্তানগণ মালখানগরে বসুঠাকুর পদবী প্রাপ্ত হয়ে বসবাস শুরু করেন।

⇒ইতিহাস আপডেট চলতেছে- নিচের লেখাটা কারেকশন করতে হবে

 গোবিন্দ বসুর প্রথম পুত্র দেবীদাস বসু মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের অধীনে বাংলার সুবাদার শায়েস্তা খান নওয়ারমহল নজরুদ্ধ বিহার এর প্রধান হাজী শফিক খান অধীনস্থ কানুগো সুপথে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বসিরহাট থেকে ঢাকা নগরীতে এসে বসবাস শুরু করেন বর্তমান ঢাকার বউবাজার দয়াগঞ্জ নারিন্দা ছিল তৎকালীন এলাকার যা বসুদের পদবী থেকে নামকরণ হয়েছিল পরবর্তীতে দেবীদাস বসুর আরেক ভাই নারায়ণ চন্দ্র বসুর নামে নারায়ণদা নামকরণ হয় এরা মহাল বিভক্ত ছিল যার তৎকালীন মুদ্রাবাসিক আইছিল ১৪ লক্ষ টাকা ছিলেন আয়কর বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা তার অধীনে ছিলেন আরো অনেক কর্মকর্তা যাদের মধ্যে বিখ্যাত রাজা রাজবল্লবের পিতা কৃষ্ণ জীবন মজুমদার কাচারি ছিল তখন ঢাকায় কয়েক বছর পর কাজের সুবিধার্থে নির্মাণ করেন তখন কাচারির নাম ছিল মালখানা ওই মালখানা থেকেই বর্তমান মালখানগর নামের উৎপত্তি বসু ঠাকুর পরিবার সেই মগল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত প্রচন্ড প্রতাপ এ মালখানা ঘরে বসবাস করতে থাকেন বসু পরিবার ছিল শিক্ষা সংস্কৃতি রাজনীতি ও খেলাধুলার জন্য বিখ্যাত ১৯ শতকের প্রথমার্ধে যখন আনুষ্ঠানিক বা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলা চালু হয় তখন থেকেই পশুর পরিবারের কয়েকজন বৃদ্ধাশয় ও মহৎ প্রান ব্যক্তি উচ্চ বিদ্যালয় মালখানা করি একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন কারণ তখন গ্রামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না লেখাপড়া করতে হলে হয় ঢাকায় অথবা কলকাতা যেতে হতো তাই বসু পরিবার ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে মালখানাগরে প্রথম একটি ইংরেজি মাইনাস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হতো তারপর কিশোরী মোহন বসু প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পরপর কয়েকটি সভা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে ১৮৮৯ সালেই স্কুলে ভর্তি শুরু হবে চন্দ্রকান্ত বসু নিজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন সৌভাগ্যবশত ওই সময়ের সুবিখ্যাত শিক্ষাবিদ ঋণাত সেন ঢাকা বিভাগের স্কুল ইন্সপেক্টর হয়ে আসেন বসুদের অনুরোধ সেনের প্রতিষ্ঠায় ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ফ্রান্স স্কুলে পরিণত হয় ওই বছরেই স্কুলটির বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয় তবে প্রথম প্রতিষ্ঠিত করে কয়েক বছর বাবুর নীলকান্ত হয়ে যায় প্রতিষ্ঠ কখন স্কুলটির নাম হয় মালখানগর হাই ইংলিশ স্কুল এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু চন্দ্রকান্ত বৈশিষ্ট ঠাকুর বিএ অনার্স ইংরেজি ও ইতিহাস তখন ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান রূপ ছিল না ম্যানেজিং কমিটির প্রধান হতেন সেক্রেটারি জিনিস শিক্ষিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এ ছাড়া মহকুমা প্রশাসন এসডিও পান 

Updated: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩ — ৪:৩৪ অপরাহ্ণ

ফটোগ্যালারী

Malkhanagar High School © 2023 Develop by Abu Taher & RK